সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ বরিশাল নগরীতে ‘ক্লিয়ার ম্যান বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭’ ফুটবল টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে বিজয়ী এবং পরাজীত দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে স্কুল শিক্ষক, টুর্নামেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মকর্তা ও স্থানীয়সহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে তিন জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল নগরীর ‘ব্রজমোহন (বিএম) স্কুল মাঠে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কোতয়ালী মডল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিন্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতরা হলো- বরিশাল বিএম স্কুলের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, অফিস সহকারী ফিরোজ, ক্লিয়ার ম্যান বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্ট ম্যানেমেন্ট সংস্থার প্রজেক্ট ম্যানেজার খাজা জায়িন আহমেদ, সুপারভাইজার এসএম নিঝুম, প্রজেক্ট লিডার শাহজাহান, কাশিপুর হাইস্কুল এন্ড কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক নাজমুল হোসেন, বিএম স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র সাফিন, তার চাচা স্থানীয় বাসিন্দা তানজিম, কাশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণির ছাত্র জাহিদ সহ ১০ জন। এর মধ্যে তানজিম, সাফিন ও জাহিদকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শী ও টুর্নামেন্ট ম্যানেমেন্ট সংস্থার সুপারভাইজার এসএম নিঝুম জানান, ‘বৃহস্পতিবার বিএম স্কুল মাঠে ক্লিয়ারম্যান বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৭ এর বরিশাল বিভাগীয় পর্যায়ের কোয়ার্টার ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম খেলা বরিশাল ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালক উচ্চ বিদ্যালয় এবং কাশিপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজ এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় ব্যাপ্টিস্ট মিশন বালক উচ্চ বিদ্যালয় ১-০ গোলে জয়লাভ করে।
এদিকে খেলা চলাকালে রেফারীর দেয়া একটি ফাউল কল নিয়ে দুই গ্রুপ খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে খেলা শেষে মাঠ ত্যাগ কালে দুই স্কুলের খেলোয়াড়দের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় স্থানীয়রা তা ছাড়াতে গেলে কাশিপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা তাদের উপরে হামলা করে। এসময় দুই স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
তখন বিএম স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় ছাড়াতে গেলে তাদের ওপারে কাশিপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষার্থীরা হামলা করলে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে তিন গ্রুপের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, খেলা পরিচালনা কমিটি এবং স্থানীয়রা রক্তাক্ত জখম হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ প্রসঙ্গে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম, খেলায় রেফারীর দেয়া একটি ফাউল কল নিয়ে দুই দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। এর জের ধরে দুই স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বাধা দিতে গেলে বিএম স্কুল শিক্ষক ও স্থানীয় যুবক সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। থানায় অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply